#রাত যখন গভীর
#জান্নাতুল মাওয়া মহুয়া
(jannatul mawa moho)
Season:02
Part :24
************
#জান্নাতুল মাওয়া মহুয়া
(jannatul mawa moho)
Season:02
Part :24
************
![]() |
রাত যখন গভীর Season:02 Part :24 |
আমি লক্ষ্য করে দেখছিলাম। এমন সময় দেখি,একটা মেয়ে চুল গুলো খোলা রেখে। বসে আছে। চেহারা দেখা যাচ্ছে না। আমি উৎসাহ নিয়ে সামনে চেহারা দেখতে গেলাম।তখন আমি দেখি,,,,
একটা মায়াবিনী খোলা চুলে বসে আছে আনমনে ভাবিতেছিলু কি জানি।ঠোঁটের মাঝে তার বাঁকা হাসি।
সে মূহুর্তে মেয়ে টাকে মানে রিনি কে দেখে আমার হৃদয়ের মধ্যে একটা ভালো লাগা কাজ করে। সেই সময় রিনি প্রকৃতির মাঝে বসে থাকা এক অপসরী মনে হয়েছে আমার কাছে ।
রিনির কন্ঠে সেদিন একটা গান শুনার সৌভাগ্য হয়ে ছিল। সেদিন তার সেই কন্ঠে রীতিমতো আমিও ঘায়েল হয়ে গেছিলাম। প্রিন্স আমাকে নিয়ে আসে সেখান থেকে। আমরা দুজন বসে ছিলাম একটা পরিত্যক্ত বাসায়।দুজন দুদিক হয়ে বসে ছিলাম।
আমার মনে শুধু রিনির সেই মুখখানি ভেসে উঠছিল আর তার সাথে সাথে
রিনির চোখ ও তার হাসিটা ও ভেসে বেড়াচ্ছে আমার মন মন্দিরে।
এসব মনে মনে ভাবছিলাম।
তখনই, আমার মুখ থেকে হঠাৎ করে কিছু লাইন বেরিয়ে আসে। আমি সেদিন বলি,
"মনের মানুষ টাকে চাই আরও কাছে,
মন থেকে খুব বাসবো ভালো,
খুব আদরে বুকের ভিতর রাখবো লুকিয়ে ,
কখনো কষ্ট দিবাে না,
সারাজীবন পাশে থাকবো।আমি তার পৃথিবী হতে চাই।পাবো তো তাকে?
আমি যখন এসব আপন মনে বকবক করছি তখন প্রিন্স (ইনতিয়াজ) অন্য মনস্ক হয়ে ছিলো। তাই আমার বলা কোন কথা লক্ষ্য করে নি।
হঠাৎ করে,
প্রিন্স বলে উঠেঃ তা কেমন লাগলো মেয়ে টা মানে আমার রিনি কে?
রহমান বলেঃ দুস্ত বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।মেয়ে টা অপুর্ব। তার শ্যাম রঙের কারণে তাকে আরও বেশি রূপবতী লাগে। সেদিন আমার ধারণা ভুল ছিল।
এমন সময় প্রিন্স বলেঃ রহমান একটা কথা মনে রাখিস,
মেয়ে জিন হোক বা মানুষ,
একটা মেয়ের মধ্যে সব গুণ খুঁজতে নেই।
কারণ, মেয়ে রা লাইব্রেরীর প্রকাশিত কোন পুস্তক নয়,যে একের ভিতর আমরা সব পেয়ে যাবো।বা সব থাকবে।।
প্রিন্স আবার বলেঃ জানিস রহমান,
শ্যাম রঙের মেয়ে গুলোর কিছু আলাদা সুন্দর থাকে।তাদের চোখ সুন্দর হয়।আর বিশেষ করে, তাদের ঠোঁট জোড়া সুন্দর হয়।আর তাদের হাসিটা একদম মন ঘায়েল করা সুন্দর হয়।তাছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অহংকারী হয় না তারা।
আমার রিনির মাঝে আমি এসব দেখেছি।
সেদিন আমি মনে মনে বলছি,প্রিন্স, যা বলছিস।সব আমি মেনে নিলাম।আসলে,সেদিন রিনিকে দেখে, তার চোখ, ঠোঁট, বাঁকা হাসি জাস্ট আমাকে মুগ্ধ করে দেয়।
💮
💮
💮
এভাবে যাচ্ছি লো সময়।অন্য দিকে, রিনি দিন দিন অপরুপ সৌন্দর্যের অধিকারী হচ্ছিলো।তার আগে পিছে অনেক ছেলে ঘুরে বেড়াতো।ততদিনে আমিও রিনির প্রেমে সম্পূর্ণ ডুবে যায়। তবে একথা জানতো না প্রিন্স।
আমি অনেক চেষ্টা করেছি।প্রিন্স কে রিনির থেকে দূরে রাখতে কিন্তু পারিনি।আমার মন চাইতো রিনিকে নিয়ে হারিয়ে যায়। তাছাড়া প্রিন্স যে রাতে পর রাত রিনি কে দেখে কাটাতো সেই কথা টা আমাকে প্রিন্স বলেনি।
আমার মন বলেছে,যদি কোন ভাবেই আমি রিনির চোখে প্রিন্স কে খারাপ করে দি।তাহলে হয়তো রিনি আমার হবে।তাই নানা প্রচেষ্টা করি।যেদিন রিনিকে প্রপোজ করে সেদিন রিনির মাথা গরম ছিল। আমি জানতাম।আমি এটাও জানতাম রিনির মাথা গরম থাকলে সে কি বলে সে নিজে ও জানে না।আমি প্রিন্স কে সরানোর জন্য, রিনির এই রাগ কে কাজে লাগালাম।সেদিন রিনি প্রচুর অপমান করে।আমি বুঝতে পারিনি প্রিন্স এতো টা রেগে যাবে।জ্বলে উঠবে প্রতিশোধের নেশায়।
সেদিন পর থেকে প্রিন্স আমার সাথে কথা বলা,দেখা করা বন্ধ করে দিয়েছে।রিনির উপর রাগ করে।
তাছাড়া সে কি কি করতো কোন খবর পেতাম না।এভাবে দুবছর হয়ে যাই।
আমি অনেক দোয়া পড়ে পড়ে , একটা শক্তি অর্জন করি।একদিন বসে সেই শক্তি টা কাজ করে নাকি ট্রাই করে দেখি।
সেদিন দেখি,রিনির সাথে অতীতে কি কি হয়েছে। এটাও দেখি,রাতের পর রাত প্রিন্স রিনিকে ভোগ করছে।অতচ,রিনি জানে না।তারপর, আপনারা প্রিন্স কে বোতল বন্দী করেন।ভাগ্য ক্রমে, যেদিন বোতল বন্দী করেন সেদিন আমি আরেক টা শক্তি অর্জন করি।
সেদিন, প্রিন্স কে বোতল বন্দী করে, সাগরে ফেলার পরপরই।আমি এই বাসায় প্রবেশ করি।কালো বিড়াল হয়ে। আর আমার শক্তি দিয়ে রিনিকে মায়া করি।আসলে,আমার চোখে তাকালেই, যে কেও মায়ার জালে জড়িয়ে যাবে।রিনির ক্ষেত্রে ও তাই হয়ে ছিল।বিদ্যুৎ নিয়ে নিলাম আমি।অন্ধকারে রিনি কে ঘাযেব হওয়ার পর আবার বিদ্যুৎ দিয়ে দি।
তারপর, ১ মাস ধরে রিনিকে ঘুম পাড়িয়ে রাখি।বিয়ে করার জন্য রিনিকে ঘুম আর পাড়িয়ে রাখতাম না।সব ভালো যাচ্ছি লো।
আমি অনেক খুশি ছিলাম বিয়ে টা রিনির সাথে হওয়া তে।।কিন্তু সেদিন বাসরঘরে দেখি বিয়েটা রিনির সাথে হয়নি।হয়েছে সুমির সাথে।
তবে বিয়ের দিন কেমনে জানি রিনি ঘাযেব হলো।সেই রহস্য উদ্বার করতে, আমার শক্তি দিয়ে চেষ্টা করেছি জানার। রিনি কেমনে পালালো ওটা জানতে??
কিন্তু আমি ব্যর্থ হয় বারবার।
এসব বলে চুপ হয়ে যাই রহমান।
💮
💮
💮
রিনি বলেঃ মন অনেক কিছু ই চাইবে,কিন্তু তা বিবেক দিয়ে বিচার করবেন,
তাহলেই বুঝতে পারবেন কোনটা করা উচিত আর কোন টা করা উচিত না।
আপনার মনের কথা না শুনে বিবেক এর কথা শুনলে হয়তো আমার জীবন টা এমন হতো না।
অর্ক বলেঃ তাহলে লাবু,হাবিব,রাবেয়ার সাথে যা যা হয়েছে এগুলো কে করলো?
এটার রহস্য কি??
রহমান জিন চুপচাপ হয়ে যাই আবার।রিনির মেজাজ খারাপ টা খারাপ হয়ে গেছে। রিনি আলতো করে চুরিটা হাতে চালিয়ে দেয়। সাথে সাথে মুগ্ধ হাতটা চেপে ধরে রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করছে।
মুগ্ধ বলেঃ জান্নাত। তোমার ওড়না টা ছিড়ে একটা কাপড়ের টুকরো দাও।
জান্নাত দিলো।রিনির রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে গেছে। রহমান জিন রিনির হাত কাটা দেখে মনের মধ্যে আহতো হলো।তাই,
রহমান জিন আবার বলা শুরু করেঃ আমি রিনির সিকিউরির জন্য এসব করিয়ে ছিলাম।রিনিকে কেউ যদি অনুসন্ধান করতে চাই,তাহলে এমন পরিস্থিতির শিখার হয় মতো করে রেখেছিলাম।ওরা সব আমার গোলাম জিন ছিল। তবে,লাবুকে দেখে একটা জিন প্রেমে পড়ে ছিল। তাই লাবু কে আক্রমণ করতে চেয়েছে বারবার কিন্তু অর্ক আশেপাশে থাকতো বলে সফল হতে পারেনি।রাবেয়ার কে জিনটা আক্রমণ করেছিলো যাতে সুমি ও জান্নাত কে মেরে ফেলতে পারে।কিন্তু তা সফল হয়নি ওই ছেলে জিনপরি টার জন্য। ওই ছেলে মুগ্ধ জিনপরি।সেদিন নদীর মধ্যে জান্নাত কে মারতে পারে নি মুগ্ধের জন্য। মুগ্ধ সঠিক সময়ে না গেলে,জান্নাত মাস্ট বি বাঁচতো না।
সবাই স্তব্ধ হয়ে গেছে। এমন সময় প্রিন্স সবার উদ্দেশ্যে বলেঃ রিনি তোমাকে আমি চাই। তুমি আমার সাথে বাকি জীবন টা কাটাবে।হা বা না কোনটা?
তুমি যেটাই বলবে তাই মেনে নেবো।
রিনি বলেঃ না।কাটাতে চাই না।
তখনই, প্রিন্স বলেঃ আমি যাচ্ছি মা বাবা।তোমরা পরে এসো।প্রিন্স যেতে প্রস্তুত হলো।
প্রিন্স যাওয়ার সময় বলেঃরিনি,
তুমি যত দূরেই হওনা কেনো রিনি,
আছি তো আমরা একটা চাঁদের নিচে।
একই সূর্যের আলোর নিচর।
একই আকাশের নিচে।
আমি নাহয় চোখ বন্ধ করে পাশে তুমি আছো ভেবে,
চাঁদ টাকে দেখে নিবো।।
রিনি চুপ হয়ে আছে। আসলে,এতো সব শুনে রিনির মাথা কাজ করছে না।তাই সে সোজা না বলে দিয়েছে। তবে,এখন কেমন জানি রিনি শূন্য তা অনুভব হচ্ছে একটু একটু।
তখনই,
প্রিন্স আবার বলেঃ রিনি জানো অভিমান গুলো একদিন সব স্মৃতি হয়ে যাবে।হাজার ও বার্তা পাটালে ও ফিরতি কোন বার্তা যাবে না,তখন প্রতি ক্ষণে ক্ষণে মনে পড়বে এই পাগলের কথা,
পাগলটাকে অনেক দূরে চলে যাবে তোমার কাছ থেকে।
আবার প্রিন্স বলেঃ I'm sorry rini.
And every sorry has a reason
Simple,mine is never
To lose YOU...
Because, i feel for you rini,
I love u rini.
তাছাড়া, রিনি আমি একটাই দোয়া করতাম।
আর আমি এখনো ও একটাই দোয়া করেই যাবো।শেষ মেষ যেনো আমি ই তোমাকে পাই রিনি।
তাছাড়া রিনি,তুমি কি জানো,
dua,ek aysi ibadat hai,
Jis se sab kuch hasil😍
Hotea Hai...
আসছি রিনি।আল্লাহ হাফেজ।
প্রিন্স চলে গেল চোখের পলকে।কিন্তু রিনির মনে প্রশ্ন। আচ্ছা প্রিন্স আল্লাহ হাফেজ বললো কেন?
খোদাহাফেজ না বলে?
তাহলে কি আবার দেখা হবে তাদের???
💮
💮
তখনই,
রিনি, রহমানের উদ্দেশ্য করে বলেঃ সুমি, আন্টি কে দেখে রাখবেন।আর নিজেকে খোঁজেন।নিজেকে জানেন।নিজেকে ভালোবাসেন তবেই আপনি অন্য জনের জন্য ভালবাসা টা অনুভব করতে পারবেন।আর অন্য কে ভালোবাসতে পারবেন।
আমার প্রতি আপনার যা ছিলো সব মায়া ছিল।আপনার থেকে জাস্ট আমাকে ভালো লাগতো যে। আমার প্রতি আপনার মায়া ও ভালোলাগা ছিল। সো,এটা বলা যায়, আপনারটা ভালোবাসা ছিল না।আমার যা ধারণা।
রহমান জিন বলেঃ রিনি,ভালো থেকো তুমি।তোমার জন্য আমার মনে রাখা জায়গা টা থাকবে আজীবন।সেটা কেউ নিতে পারবে না রিনি।আমি জানি, আর আল্লাহ জানে তোমার প্রতি আমার টা মায়া নাকি ভালোবাসা নাকি ভালোলাগা।আমি বলে বুঝাতে পারচিনা।এটা আমার ব্যর্থতা।তবে আল্লাহ সব জানেন।রিনি,নিজের যত্ন নিও।ভালো থেকো।
রিনি বলেঃ জীবনে ভালোই থাকবো, আপনি ও ভালো থাকবেন।
তাছাড়া ভালো থাকার সিক্রেট কি জানেন?
সিক্রেট হচ্ছে,
বেলা শেষে চোখ বুজে ভাবতে হবে,আমি আমার মতো,।আমি কারো মতো না।আমি আমি তেই অন্যন্যা, আমি যেমন যারা আমাকে তেমন ভাবে গ্রহণ করতে পারবে।তারাই আমার নিজের মানুষ, আমার কাছের মানুষ। আমার মা বাবা আমাকে আমি যেমন, তেমন ভাবেই গ্রহণ করবে।তাই তারাই আমার আপনজন।তারা আমার জীবনে আছে। সো আমি ভালো থাকবো।
একথা শেষ করতেই রিনি,
হঠাৎ করে, প্রিন্স রহমান জিন উদাও হয়ে গেছে।
💮
💮
প্রিন্স দাঁড়িয়ে আছে। সমুদ্রে তীরের কাছে। এমন সময়, কে যেনো পিছন থেকে প্রিন্সের কাঁধে হাত দিলো।প্রিন্স পিছনে ফিরে দেখে,,,,,,
চলবে......
***আচ্ছা এমন কার কার সাথে হয়েছে,
নিজের ভালোবাসা টা কে আপন বন্ধু কেড়ে নিতে চেয়েছে???
তারা কি সফল হয়ে ছিলো?
কমেন্ট করে বলেন কি হয়ে ছিল তখন আপনাদের সাথে!!!
আর,
গল্প কেমন হচ্ছে কমেন্ট করে জানাবেন???
(বানান ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন)
পোস্ট রেটিং করুন
টিউটোরিয়ালটি কেমন লেগেছে মন্তব্য করুন!